উচ্চ রক্তচাপের (হাই প্রেসার) প্রতিকারসমূহ-নিজে জানুন, অন্যকে জানান ।

উচ্চ রক্তচাপ এখন স্থায়ী রোগ হিসেবে বিশ্বজুড়ে বিবেচিত। এই কারণেই এর  চিকিৎসা ও প্রতিরোধ জরুরি। তা না হলে বিভিন্ন জটিলতা, এমনকি হঠাৎ মৃত্যুরও ঝুঁকি থাকে।

উচ্চ রক্তচাপ দুই ধরনের হয়। এর মধ্যে একটি চিকিৎকসার মাধ্যমে নির্মূল করা গেলেও আরেকটি নির্মূল করা যায় না।

১. প্রাইমারি উচ্চ রক্তচাপ:  উচ্চরক্ত চাপ ৯০ ভাগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়না। তাই যে রক্তচাপের কারণ নির্ণয় করা যায় না তাই হচ্ছে প্রাইমারি উচ্চ রক্তচাপ। এ ধরনের উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপিণ্ডের জন্য খুব বিপজ্জনক এবং নীরব ঘাতক হিসেবে কাজ করে। কারণ এ ধরনের রক্তচাপ প্রতিরোধ না করা গেলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য জটিল হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকগুণ বেড়ে যায়।

২. সেকেন্ডারি উচ্চ রক্তচাপ: চর্বি বা রক্ত জমাট বেধে রক্তনালী সরু হলে আড্রেনাল গ্রন্থে ফোরা বা টিউমার হলে, কিডনির সমস্যা হলে, কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে যেমন ব্যাথানাশক ওষুধ (ইবুপ্রফেন, নাপ্রক্সেন) সেবন করলে বাকি ১০ ভাগ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। এটি নিরাময় যোগ্য, চিকিৎসা নিলে সেকেন্ডারি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

প্রতিকারঃ

১. ওজন বেশি হলে ওজন কমাতে হবে।
২. নিয়মিত ব্যায়াম বা হাঁটতে হবে।
৩. পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
৪. ধূমপান সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।
৫. অ্যালকোহলের অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করতে হবে।
৬. খাবারে লবণের মাত্রা কমাতে হবে এবং চা, কফির অভ্যাস পরিহার করতে হবে।

 

উচ্চরক্তচাপ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানতে  নিচের আর্টিকেল গুলো পড়ুন ।

১ । উচ্চ রক্তচাপ কি? উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিজে জানুন অন্য জানান ।

২। উচ্চরক্তচাপের প্রধান ১০ টি কারণ , যা সকল বয়সী মানুষের জন্য জানা একান্ত্র প্রয়োজন 

৩। উচ্চ রক্তচাপের প্রতিরোধ ও চিকিৎসা পদ্ধতি । খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করুন-সুস্থ থাকুন । [BDKOSH.COM]

You might also like

Leave A Reply

Your email address will not be published.