উচ্চ রক্তচাপ বয়সের উপর এখন আর নির্ভর করে না। খুব কম বয়সেই এখন উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। লাইফস্টাইল ডিজিজ এখন হাই ব্লাড প্রেশার। অনিয়মিত জীবনধারণ, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, মূলত এই কারণে খুব অল্প বয়স থেকেই এখন উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। এখন ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওষুধ যেমন আছে, তেমন আছে বেশকিছু সবজি ও ফল, যা নিয়মিত খেলে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে উচ্চ রক্তচাপ। এড়ানো যাবে হাই ব্লাড প্রেশারের প্রবণতাও।
লবণ বা সোডিয়াম এড়িয়ে চলুন
বেশি লবণ বা সোডিয়ামযুক্ত খাবার বেশিরভাগ মানুষেরই রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই যত কম লবণ বা সোডিয়াম খাবেন, তত সহজ হবে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা।
খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ কমাতে নীচের কাজগুলো করতে পারেন।
• কতখানি লবণ খাচ্ছেন তার হিসেব রাখতে ফুড ডায়রি লেখা শুরু করুন।
• দৈনিক ২৩০০ মিলিগ্রাম বা ১ চা চামচের কম লবণ খাবার চেষ্টা করুন। ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে দেখুন যে এর চেয়ে কম খেলে যেমন ১৫০০ মিলিগ্রাম, আপনার কোনো সমস্যা হবে নাকি।
• খাবার কিনে খেলে তার প্যাকেটের গায়ে লেখা উপকরণ ভালোভাবে পড়ে দেখুন।
. দৈনিক ৫ শতাংশের কম সোডিয়াম খাওয়া হবে এমন খাবার কিনুন।
. দৈনিক ২০ শতাংশের বেশী সোডিয়াম খাওয়া হবে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন।
• প্রক্রিয়াজাত খাবার, রেডি টু ইট বা তৈরি খাবার, ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন।
উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্যকারী খাবাসমূহঃ
লেবু : লেবুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-C, যা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে লেবু। সকালে ঘুম থেকে উঠে একটা লেবুর রস সমান পানিতে মিশিয়ে খেতে পারলে ভালো। খাবারের মধ্যেও লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন।
রসুন : রসুন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। রসুন কাঁচা খান বা রান্না করে খান, নাইট্রিক অক্সাইড ও হাইড্রোজেন সালফাইডের উৎপাদন বাড়িয়ে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তোলে।
কলা : কলায় থাকে প্রচুর পটাশিয়াম। রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
পালং শাক : পালং শাকে থাকে ফাইবার ও হার্টের জন্য ভালো পটাশিয়াম, ফোলেট ও ম্যাগনেশিয়ামের মত পুষ্টি উপাদান। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
বিনস : বিনসে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম থাকে। যা উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও
• আপেল
• অ্যাপ্রিকট
• শালগম
• ব্রকলি
• গাজর
• বরবটি
• খেজুর
• আঙ্গুর
• মটরশুঁটি
• আম
• তরমুজ
• কমলা
• পিচ
• আনারস
• আলু
• কিসমিস
• স্ট্রবেরি
• টমেটো
• টুনা মাছ
• ফ্যাট ফ্রি দই
আপনার চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সাহায্য নিয়ে আপনার ডায়েট শুরু করুন। তারা আপনার ওজনের উপর ভিত্তি করে হিসাব করে বলতে পারবেন যে সঠিক ওজন ধরে রাখা বা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনার দৈনিক কত ক্যালোরি খাওয়া উচিৎ। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার পছন্দের খাবার দিয়ে সাজিয়ে নিন আপনার ডায়েট।